জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শেখ জামাল পিতা মত দেশ প্রেমে উজ্জীবিত এক সাহসী সেনানী। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে পাকহায়েনারা গৃহবন্দি করে। শেখ জামাল ওই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বীরের বেশে ফিরে আসেন। তিনি আরো বলেন, শেখ জামাল একজন চৌকস সেনাকর্মকর্তা ছিলেন। তাদের জন্ম হয়েছিলো বাঙালির মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অপরদিকে সাংস্কৃতিতে তাঁর অপরিসীম অবদান ছিলো। তিনি বাবার রাজনৈতিক কর্মকাÐ দেখে নিজেকে সেইভাবে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। সেকারনেই তাকে পাকহায়েনারা বন্দি করে রাখতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলকে শেখ জামালের রাজনৈতিক কর্মকাÐে উজ্জীবিত হয়ে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার দুপুর ১২টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার সহোদর বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড: আইয়ুব আলী শেখ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মফিদুল ইসলাম টুটুল, মো: মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড: মো: সাইফুল ইসলাম, শেখ আবিদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর ফকির মো: সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক রুনু ইকবাল, তসলিম আহেমদ আশা, মো: মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মো: সফিকুর রহমান পলাশ, এমরানুল হক বাবু, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, আইয়ুব আলী খান, আলমগীর মল্লিক, জহির আব্বাস, মাহামুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামালসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ জামালের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।