জন্মভূমি ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক শোষনহীন বৈষম্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। একাত্তর পচাত্তর ২০০৪ এর খুনী ২০১৩ সালের আগুন সন্ত্রাসীরা সেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে রুখে দিতে চায়। এই হত্যাকারীরা ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে এক্যবদ্ধভাবে আমাদের ওই ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক পক্ষ প্রতিপক্ষ থাকবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে কোন স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি থাকতে পারবেনা এ বিষয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থকতে হবে। শুক্রবার সকালে খুলনার দাকোপে দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ৫০ বছর পূর্ণ উপলক্ষ্যে সূবর্ণজয়ন্তী ও পূনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এ কথা বলেন। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিটা কাটিয়ে উঠলে তিনি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঐতিহ্যবাহী কলেজটি জাতীয় করন এবং শতবর্ষী বাজুয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের প্রস্তাবটি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর করবেন বলে উল্লেখ করেন। কলেজের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহবায়ক কলেজ অধ্যক্ষ শ্যামল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ^াস (এমপি), জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার (এমপি), জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরোফিন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোঃ ইমরান হোসেন, দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পরর্ষদের সভাপতি মিন্টু বিশ^াস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আয়োজক কমিটির কো-কনভেনর মানস মুকুল রায়, যুগ্মআহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায়, ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. তুহিন রায়, সন্ধ্যা রানী শীল, স্বর্ণ কমল মিঠু, অধ্যাপক হেমন্ত কুমার বৈদ্য, অনিমেশ মন্ডল, প্রাণবেন্দু রায়, তুষার কান্তি পাল, শাহানা আকতার, সাবেক ছাত্রনেতা মীর্জা সাইফুল ইসলাম টুটুল, সেক্সপিয়ার রায়, রবার্ট হালদারসহ বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তৃতাপর্ব শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুর্নমিলনীর দুইদিন ব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন এবং স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। দুপুর আড়াইটায় তিনি উপজেলার সরকারী এলবিকে মহিলা মহাবিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহাত্না সুরেন্দ্র নাথ রায়ের প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পন করেন।