জন্মভূমি ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন সারারাত জেগে থাকেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে। এ পর্যন্ত করোনা, বন্যা অতিক্রম করে; এই যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট সেটাও তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে হাল ধরে আছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে তাকে শক্তি দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসনিার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের দিনটি সামনে আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলাভেন নামে অমাবশ্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ৬ বছর পর তার সুকন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন জন্মভ‚মিতে পিতার রক্ত ভেজা মাটিতে। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সমস্ত শক্তিকে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা পণ নিয়ে এসেছেন, পিছু হটেননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রæকুটির সামনে মাথানত করেননি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ‘রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনও বাইরে। এত অপমান করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বলে আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে; কোথা থেকে শুনলেন? নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা দূরে বাজছে, আওয়ামী লীগের বিদায় নয়। খেলা হবে, রাজনীতি-নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। খেলায় আসুন।’
শেখ হাসিনা সারারাত জেগে থাকেন, যেন দেশের মানুষ ঘুমাতে পারে
Leave a comment