সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : ওজন বাড়াতে চিংড়ির ভেতর অপদ্রব্য ঢোকানো হচ্ছে, এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে শনিবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের কামারপাড়া বাজারের একটি চিংড়ি বেচাকেনার দোকানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল।
এসময় বাগদা ও গলদা চিংড়িতে ওজন বাড়ানোর জন্য সিরিঞ্জের মাধ্যমে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করার সময় নূরনগর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরসহ তার পাঁচ সহযোগীকে হাতেনাতে আটক করে যৌথ বাহিনী। একই সময়ে অপদ্রব্য (জেলি) ঢোকানো অন্তত ৫০০ কেজির বেশি চিংড়ি জব্দ করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ সময় জব্দকৃত চিংড়ি, জেলি ও কয়েকটি সিরিঞ্জ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলায় দায়িত্বরত ডিজিএফআই-এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা সার্জেন্ট আল মামুনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের কামারপাড়া বাজারের একটি বন্ধ দোকান ঘরে ভিতরে সুকৌশলে চিংড়িতে জেলি ও রাসায়নিক দ্রব্য পুশ করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়।
এসময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশরত অবস্থায় হাতেনাতে তাদেরকে আটক ও সেখান থেকে অপদ্রব্য ঢোকানো অন্তত ৫০০ কেজির বেশি চিংড়ি, জেলি ও জেলি তৈরির পাউডার ও বিভিন্ন রাসায়নিক জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাত জানান, চিংড়িতে জেলি পুশের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারায় নুরনগর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাসানকে ১ লাখ টাকা, নজরুল ইসলামকে ২৫ হাজারসহ আবুল কাশেম, রনজিৎ মন্ডল, শ্বসধর গায়েন ও তুমুল মন্ডলকে ২০ হাজার করে মোট ৬ জনকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। পরে জব্দকৃত মাছ ওই স্থানেই কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা চিংড়িতে কেমিক্যাল ও ময়দা দিয়ে তৈরি তরল কয়েক ধরনের জেলি ব্যবহার করে থাকে। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক হতে হবে। কারণ এই জেলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে কিডনির সমস্যা ও ক্যান্সারসহ অনেক রোগ হয়।
শ্যামনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকালে হাতেনাতে ধরা, ৬ ব্যাবসায়ীকে জরিমানা

Leave a comment