জন্মভূমি রিপোর্ট : মুজগুন্নী মহাসড়কের সড়ক বিভাজকসহ খুলনার পাবলিক পারিসরে উন্নয়নের নামে যখন তকন গাছ কাটা বন্ধসহ ৮দফা দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুর।
সম্মেলনে তিনি বলেন, সড়কসহ সড়ক বিভাজকের গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্রময় দেশীয় প্রজাতির গারছর চারা লাগাতে হবে। মুজগুন্নী মহাসড়কের সড়ক বিভাজকের কর্তনকৃত এলাকায় বৈচিত্রময় দেশীয় গাছ লাগানোর পাশাপাশি বাকি সড়ক
বিভাজকে যে গাছ আছে তা রেখেই সৌন্দর্য বর্ধনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
যে সকল গাছ আমাদের দেশকে উপস্থাপন করে, আমাদের ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করে, সেই জাতীয় গাছকে গুরুত্ব
দিতে হবে। গাছের ডাল ভেঙে দর্ঘটনা ঘটবে বা বড় গাছের জন্য ডিভাইডার ভেঙে যাবে এই সকল অজুহাতকে বর্জন করে
পাখিদের আবাসস্থল তৈরীতে এবং পথচারীদের ছায়া সুনিবিড় পথ উপহার দিতে দেশীয় বড় গাছ লাগাতে হবে। গাছ কেটে সৌন্দর্যবর্ধন এমন বিপরীতমুখী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। জনগণের করের টাকায় একবার গাছ লাগানো এবং আরেকবার গাছ কেটে আবার গাছ লাগানোর নতুন প্রকল্প
গ্রহণের নামে অর্থ আত্মসাতের গাছ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিকি পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবাসীবান্ধব সনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে তিনি বলেন, এই নগর আমাদের নগর, এখানকার গাছ ও সবুজ বলয় সুরক্ষার দাযিত্ব ও সিদ্ধান্ত আমাদের। সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর প্রতিষ্ঠান। গাছ-পাখি-মানুষ এই নগরের সকলের অধিকার ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব ও সম্মান দিয়ে সিটি
কর্পোরেশনকে সকলের আস্থা অর্জন করতে হবে। গাছ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় সংবিধানের অঙ্গীকার, সংশ্লিষ্ট আইন এবং নগরবাসীর দাবি সবকিছুকে সমন্বয় করে এবং মেনে নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।
এসময় আইনজীবী কুদরত-ই-খুদা, বাবুল হাওলাদার, সুতপাবেদজ্ঞ, মাহবুব আলম বাদশা, মেরিনা যুথি,শরিফুল ইসলাম সেলিম, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসিমা খাতুন, নাজমুল আযম ডেভিট ও হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।