সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালী ও মাগুরা রাস্তা বাশের বেড়া ও কাটা দিয়ে ঘিরে দিয়েছে স্থানীয় জামায়াত নেতা নাশকতা মামলার আসামি শহিদুল ইসলামসহ তার লোকজন। মঙ্গলবার সকালে খলিষখালী ইউনিয়নের বাগমারা বাজারের অদূরে রাস্তাটি ঘিরে ফেলে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ উঠেছে খলিষখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমির একাধিক মামলার আসামি বাগমারা গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ তার লোকজন প্রতিবেশীশফিউর রহমাস শফি (আমিন) ও রবিউল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ প্রথ বন্ধ করে দেয় কয়েক বছর আছে। বিষয়টি নিয়ে রবিউল ইসলাম ও শফি আমিন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে প্রতিকার দাবি করে। এ ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে উভয় পক্ষকে নিয়ে সরকারী রাস্তার জমি ছেড়ে দিতে বলে প্রতিবেশী শফি আমিন ও রবিউল ইসলামের বাড়ির প্রবেশে বাধা না দিতে বলে দেন। কিন্ত তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকালে বাগমারা গ্রামে উপস্থিত হলে জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলামসহ তার লোক স্থানীয় ওয়ার্কাস পার্টির এক নেতার ইন্ধনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর চড়াও হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই জনকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে শফি আমিন ও তার ভাই রবিউল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির লোকজন আতংকীত হয়ে পড়ে। এর পরে হামলাকারীরা বাগমারা মেইন রাস্তা বাশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। এর ফলে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ওয়ার্কাস পার্টির নেতাদের মদদে জামায়াত-বিএনপির কতিপয় সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে দিনের পর দরিদ্র কৃষকের পরিবারকে হয়রানি করে আসছিল। এদিকে ওর্য়াকাস পার্টির নেতা ও ইউপি সদস্যের কারণে আইনগত প্রতিকার নিয়ে সংশয় নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার। সরজমিনে গেলে, বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোজাম্মেল হক শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, ৫০ হাত রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল একই এলাকার মৃত আব্বাস শেখের ছেলে জামাত নেতা শহিদুল গংদের সাথে। এই নিয়ে বহুবার শালিশ দরবার হয়েছে কিন্তু কোন ফলপ্রসূ হয়নি। মঙ্গলবারের সকালে, সোহাগ শেখ, জামাত নেতা শহিদুল ইসলাম, আরিজুল শেখ, হেদায়েত শেখসহ একদল সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এরপর ঘটনাটি মুঠোফোনে তালা সহকারী (ভূমি) কমিশনারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।