ক্রীড়া প্রতিবেদক : পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের পরও বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে টাইগাররা। স্লো ওভার রেটের কারণে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার রঞ্জন মাদুগালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই শাস্তি আরোপ করেছেন। আইসিসির প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে এই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩ ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার কবলে পড়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও।
পাকিস্তান এই ম্যাচে পিছিয়ে ছিল ৬ ওভার। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাপোর্ট স্টাফ ও প্লেয়ারদের প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানার বিধান রয়েছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য এক পয়েন্ট করে জরিমানার নিয়ম রয়েছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ অপরাধ শিকার করে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এদিকে বাড়তি জরিমানার কবলে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তাকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ওয়ানের অপরাধ করেছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারের দিকে বল ছুড়ে মারা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। ঘটনাটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩তম ওভারের। তখন বোলিংয়ে ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
ব্যাটিং করছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। একটি বলের আগে তৈরি হতে বেশ সময় নিচ্ছিলেন রিজওয়ান। সাকিব বল করতে চাইলে রিজওয়ান সরে যান। তবে সেই সময় ব্যাটারের মাথার ওপর দিয়ে উইকেটকিপারের দিকে বল ছুঁড়ে মারেন সাকিব।
এ কারণেই জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে তাকে। সেই সঙ্গে দেয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। ম্যাচ শেষে অন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবর্গ। আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক, থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ ও চতুর্থ আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ সাকিবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।
সাকিব অবশ্য অপরাশ শিকার করে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। লেভেল ওয়ানের অপরাধের জন্য নুন্যতম ১০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানার বিধান রয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্টের বিধান রয়েছে।