জন্মভূমি ডেস্ক : বছরের শুরুতেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও অ্যামাজন। চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান দুটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী কমিয়ে আনবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, জেনারেটিভ এআইয়ে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে তারা। একই পথ ধরছে অন্য সংস্থাগুলোও।
এরই মধ্যে প্রযুক্তি দুনিয়ায় এ সিদ্ধান্তের ছাপ পড়তে শুরু করেছে। একটি ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের হিসাব অনুসারে, চলতি জানুয়ারিতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো সাড়ে সাত হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় থাকা সংস্থাগুলো নতুনভাবে পরিকল্পনা করছে। সে অনুযায়ী কোটি কোটি ডলার খরচ কমিয়ে আনার চিন্তা তাদের। তাই এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অ্যালফাবেট গত সপ্তাহে জানায়, তারা এআই খাতে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। গুগল তার অধীনস্থ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন পিক্সেল ও ফিটবিট থেকে এক হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে। এমনকি বিজ্ঞাপন ইউনিট থেকেও শত শত লোককে ছাঁটাই করা হয়েছে। অ্যামাজন গত সপ্তাহে স্ট্রিমিং ও স্টুডিও বিভাগ থেকে কয়েক শত কর্মী ছাঁটাই করেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির টুইচ লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এবং অডিবল অডিওবুক ইউনিটেও শত শত কর্মীকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ডিএ ডেভিডসন অ্যান্ড কোর বিশ্লেষক গিল লুরিয়া বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে কোনো সংস্থাই পিছিয়ে থাকতে চায় না। সবাই নিজেদের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাইছে। সংস্থাগুলো এআই-কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ও এর পেছনে বিনিয়োগও বাড়িয়েছে। গুগল ও অ্যামাজন উভয়ই আগ্রাসীভাবে বিনিয়োগ করছে। গুগল গত মাসে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জেমিনি মডেল উন্মোচন করেছে।
অপরদিকে অ্যামাজন চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনআইয়ের জিপিটি-৪ মডেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আলিম্পাস কোডনাম নামের একটি মডেল তৈরি করেছে।
তবুও ছাঁটাইয়ের মোট আকার গত বছরের তুলনায় অনেক ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে এ খাতে ছাঁটাইয়ের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৬৮ হাজার ৩২টি।
সাড়ে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো
Leave a comment