সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভূমিদস্যু মর্জিনা খাতুনগং কর্তৃক জমি দখলের পায়তারা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার (জেলখানার পাশে) আব্দুল আলিমের স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা খাতুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া মৌজার এসএ ৬৫৫ নং খতিয়ানের ৯৬ ও ১০২ দাগের ডিপি-২৪৭৬, হাল-১০৬০ দাগে ১৩.৫০ শতক জমি ওয়ারেশ সূত্রে উত্তরাধিকার হইয়া দীর্ঘ ১২ বছরের অধিক সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসিতেছি। বর্তমানে সেখানে মধ্য কাটিয়া গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের কন্যা মর্জিনা খাতুন ওরফে টুনু ও মনিরা খাতুন, স্ত্রী আইজ্জা খাতুন এবং আশাশুনি উপজেলার মাড়িয়ালা গ্রামের মৃত আবু বক্কার মোল্লার পুত্র নজরুল ইসলাম অন্যায় ভাবে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করিতেছে। আমি জমি রক্ষার্থে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া বিজ্ঞ ১ নং যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার দেং মামলা নং-১৩/১৭। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক গত ১৫/০৫/২০১৭ ইং তারিখে আমার অনুকূলে দে: কা: বি: আইনের ৩৯ আদেশের ১/২ নিয়ম ও ১৫১ ধারার বিধান মতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তফসিল বর্ণিত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা স্বত্ত্বেও দেশের পরিস্থিতি নৈরাজ্যকর হওয়ার সুযোগে উপরোক্ত ব্যক্তিরা গায়ের জোরে ও অন্যায়ভাবে উক্ত জমি দখলের মানসে গত ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাশ, খুটি নিয়ে ২ টা ছুপড়ি ঘর তৈরি করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা প্রদান করায় উপরোক্ত ব্যক্তিরা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মারধর করিতে উদ্যত হয় এবং খুন জখমের হুমকী প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, উপরোক্ত লাঠিয়াল, দাঙ্গাবাজ, সুযোগসন্ধানী ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির ব্যক্তিদের এহেন কার্যকলাপে আমি ও আমার পরিবার বর্তমানে আতঙ্কে দিনাতিপাত করিতেছি। উক্ত দূর্বৃত্তদের এরূপ কার্যক্রমে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এসময় তার সম্পত্তি রক্ষার্থে উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ তিনি তার পরিবার পরিজন নিয়ে যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকায় জমি দখলের পায়তারা
Leave a comment