সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) ১৪,সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ১১, সাতক্ষীরা-৩ দেবহাটা-আশাশুনি-কালিগঞ্জ আংশিক) ৮,সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে ১১ জন
জন্মভূমি রিপোর্ট : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে টানা চারদিন ধরে উৎসবমূখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।এবার সাতক্ষীরার ৪ টি সংসদসীয় আসনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চ ৪৪ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহন করে তা জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশির মধ্যে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে রয়েছেন ১৪ জন, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ১১জন, সাতক্ষীরা-৩ দেবহাটা-আশাশুনি-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে ৮ জন এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে রয়েছেন ১১ জন। মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অনেকের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস থেকেও মিলেছে তথ্য। তবে অনেক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১৪ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক,বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদ পরিবারের সন্তান শেখ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ সাহিদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিসদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. মোহাম্মদ হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির টুটুল, কৃষক লীগ নেতা আফজাল হোসেন।
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন-সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, সহ-সভাপতি ড. কাজী এরতাজা হাসান, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, যুগ্ম-সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দীন, সাংগাঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, সাংস্কৃকি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন ও সাবেক সচিব জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ শাফী আহম্মেদ।
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৮ জন। তারা হলেন-সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক,আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহম্মেদ স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা আফসার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. গোলাম মোস্তফা ও ছাত্রলীগ নেতা খালিদ হাসান নয়ন।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয় ফরম সংগ্রহ করেছেন ১১জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাকসুদা খানম মেধা, সাংগাঠনিক সম্পাদক শফিউল আযম লেলিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাড. আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা বাবলুর রহমান, তরুণ লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা এড. মোজাহার হোসেন কান্টু, রনি আহমেদ ও আনিছুর রহমান আনিছ।
আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে বসবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডর সভা। মনোনয়ন যাকে মনোনীত করবেন তিনি পাবেন নৌকা প্রতীক। এদিকে জেলা জুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে হাইভোল্টেজ টেনশন। কে হচ্ছেন প্রার্থী। কে পাবেন গৌরবের নৌকা প্রতীক। এসব টেনশনে রয়েছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। সেকারণে নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে আছেন রাজধানী ঢাকার দিকে।