জন্মভূমি ডেস্ক : সারাদেশে ৪৭টি সেতু, ৩টি টানেল, ২৭টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ সারাদেশে মোট ৭৭টি প্রকল্প শুরু করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক)। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ভাবা হচ্ছে।
বাসেক ও সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা নদীর ওপর ৬টি সেতু, মেঘনা নদীর ওপর ৭টি সেতু এবং যমুনা নদীর ওপর ৩টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ সারাদেশে সংযোগ বাড়ানোর এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, অনেকে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
মহাপরিকল্পনায় উল্লিখিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে ১৩টি প্রকল্প ২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ ও পাবনা-রাজবাড়ী সড়ক বরাবর পদ্মা নদীর ওপর ২টি সেতু, শরীয়তপুর–চাঁদপুর, গজারিয়া–মুন্সিগঞ্জ ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর সড়কে মেঘনা নদীর ওপর ৩টি সেতু এবং যমুনা নদীর তলদেশে একটি টানেল নির্মাণ। যমুনা নদীর টানেল নির্মাণের জন্য গাইবান্ধার বালাসী ঘাট ও জামালপুরের বাহাদুরাবাদ এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, যানজট কমানোর লক্ষ্যে বাসেক রাজধানীর মধ্যে একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, একটি ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোড এবং একটি পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।
বাসেকসূত্রে জানা গেছে, স্প্যানিশ কোম্পানি টিপসা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেকস মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। যদিও কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ৭৭টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশে সেতু ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তার বিস্তারিতসহ বিস্তৃত তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পগুলো পর্যায়ক্রমে কার্যকর করা হবে। কিছু প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং অন্যগুলোর জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা ঃ বিআইডিএস-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করাই ভালো হতে পারে।
‘যদি এই মাত্রার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এগুলো অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতিতে।বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন সমস্ত মেগা প্রকল্পের সমাপ্তির পরেই নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।’
বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ‘এটা প্রশংসনীয় যে বাসেক সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ১৩টি দেশের লজিস্টিক খরচ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আমাদের দেশের লজিস্টিক খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। পদ্মা সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অবকাঠামোগত সুবিধায় আরও বিনিয়োগ আমাদের জন্য উপকারী হবে।’ তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদিও অনেক প্রকল্প প্রাথমিকভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বা বেসরকারি খাতের কাছে আকর্ষণীয় বলে মনে হতে পারে, খরচ ও সুবিধার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলে বিকল্প উপায়ও পাওয়া যেতে পারে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সচিব মো. মামুন-আল-রশিদ প্রতিটি অবকাঠামো প্রকল্পের সম্ভাব্য সুবিধা মূল্যায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ‘আমাদের দেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাজারমূল্যের চেয়ে ৪–৫ গুণ বেশি খরচে। এ বিষয়টিকে মহাপরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। যদি বাজারদরে বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের ওপর চাপ কমবে,’ তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অদক্ষতা এবং যথাযথ জরিপের অভাবে আমাদের দেশে প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের সুফল উপলব্ধি করা যায় না এবং খরচও বাড়তে থাকে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী সংযোগের জন্য মহাপরিকল্পনার ওপর নির্ভর করা অপ্রতুল। তারা বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন বিস্তৃত মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক মো. শামসুল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে ঢাকার ওপর চাপ বেড়েছে। ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে মাস্টারপ্ল্যানে একীভূত করতে হবে। শুধু সেতু নির্মাণ বড় শহরে জনসংখ্যার চাপকে আরও খারাপ করবে।’ তিনি টানেল নির্মাণের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ধরেনর স্থাপনা নির্মাণ এবং পরিচালনার ব্যয় সাধারণত সেতুর তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি।
মাস্টারপ্ল্যানে ২৭টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত। আমাদের সীমিত জমি এবং বিশাল জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি অপরিহার্য। এ পদ্ধতিটির সুবাদে একই জমির একাধিক ব্যবহার করা যায় এবং জমি অধিগ্রহণ করার দরকার হয় না।’
২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রাধিকারে থাকা প্রকল্প ঃ বাসেক পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ সড়কে পদ্মা নদীর ওপর ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করতে চায়। ২০০৪ সালে পরিচালিত প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এ সেতু নির্মাণের খরচ প্রাথমিকভাবে ১৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। সেতু বিভাগ এখন নির্মাণ ব্যয় ৩১ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনুমান করছে।
বাসেক কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু পাটুরিয়া ও গোয়ালন্দের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে, যা ঢাকা থেকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরাসরি প্রবেশের সুবিধা দেবে।
সেতুটি বেনাপোল ও দর্শনার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর এবং মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করবে।
মহাপরিকল্পনায় পাবনা-রাজবাড়ী সড়কের পাশে পদ্মা নদীর ওপর একটি অতিরিক্ত সেতু নির্মাণের প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বাসেক এ সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করেছে। এর খসড়া প্রতিবেদনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩.৮৬ কিলোমিটার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেঘনার ওপর ৩ ব্রিজ ঃ সেতু কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩৫ সালের মধ্যে মেঘনা নদীর ওপর তিনটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছে। এ সেতুগুলোর মধ্যে একটি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে শরীয়তপুর–চাঁদপুর সড়কে তৈরি করা হবে। আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির সঙ্গে ৮.৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
বাসেক কর্মকর্তাদের মতে, এটি সম্পন্ন হলে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মধ্যে যাতায়াতকারী যানবাহনকে আর ঢাকার ভেতর দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এ সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বর্তমানে প্রায় শেষের দিকে। সেখানে এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।
গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে মেঘনা নদীর উপর ২.৪২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ১৫ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে একই নদীর ওপর আরেকটি সেতু নির্মাণের প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
বাসেক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোলা-লক্ষ্মীপুর (মজু চৌধুরীর হাট) ফেরিঘাটটি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১২টি জেলা এবং সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে ২১টি জেলার বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃজেলা পরিবহন রুট হিসেবে কাজ করবে।
বর্তমানে সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে যা এ বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঃ বাসেকসূত্রে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, ঢাকা–মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দকে সংযুক্ত করবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যানবাহনগুলো ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিজ নিজ জেলায় যাওয়ার সুযোগ পাবে।
৩৯.২৩ কিলোমিটার প্রস্তাবিত দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়েটির জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা।
তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর সেতু ঃ ২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত আরেকটি প্রকল্প হলো বরিশাল–ভোলা সড়কে তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ।
বাসেক সূত্রমতে, প্রস্তাবিত সেতুটির জন্য ২০২ সালে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছিল। বর্তমানে তার পর্যালোচনা চলছে। খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা গেছে, ১০.৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণে আনুমানিক ১৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার দরকার হবে।
ঢাকা ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোড ঃ সেতু বিভাগ ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকা ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোডের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে প্রকল্পটির জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবাযয়িত হলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের যানজট কমবে।
ঢাকায় পাতালরেল নির্মাণ ঃ কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মোট ১১টি রুটে প্রায় ২৩৮ কিলোমিটার বিস্তৃত একটি পাতালরেল নির্মাণের জন্য ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষা পরিচালনাকারী পরামর্শদাতা সংস্থা প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ফেজ-১-এর চারটি রুট ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করা উচিত। এ ৪টি ফেজ-১ রুটের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা।
কক্সবাজার-মহেশখালী চ্যানেলে টানেল বা সেতু ঃ মহাপরিকল্পনায় কক্সবাজার–মহেশখালী চ্যানেলে একটি টানেল বা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বর্তমানে চলমান। সমীক্ষার খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনার হাওরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঃ সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ–ময়মনসিংহ হয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করেছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষাটি এ বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাস্তবায়নের পর ১৪ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের এ প্রকল্পটি সিলেট থেকে রংপুরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২য় মুক্তারপুর সেতু নির্মাণ ঃ সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা–মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাশে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ২য় মুক্তারপুর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই নদীর ওপর নির্মিত প্রথম মুক্তারপুর সেতু ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।