জন্মভূমি রিপোর্ট
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি’র বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টায় সিআইডি’র ডিআইজি (ফরেনসিক) মো: হেলাল উদ্দিন বদরী ল্যাবটিতে সংক্ষিপ্ত পরিদর্শণ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভায় মিলিত হবেন। কেএমপির স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবে নয়টি সেকশন রয়েছে। সেখানে খুন-জখমে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির ব্যালেস্টিক পরীক্ষা, আইটি, মাইক্রো এনালাইসিস, ফিঙ্গার প্রিন্ট, জাল নোট পরীক্ষা, ফটোগ্রাফি, হস্তলিপিসহ অন্যান্য পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন থানা হতে প্রতি মাসে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি মামলার আলামত পরীক্ষার জন্য ল্যাবে আসছে। সংশ্লিষ্ট মামলা সমূহের তদন্ত কর্মকর্তাগণ এক মাসের মধ্যেই আলামত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন। এর আগে খুলনার মামলাসমূহের আলামত পরীক্ষার জন্য রাজধানী ঢাকা ও রাজশাহী জেলার সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে হতো। এতে রিপোর্ট পেতে সময় ক্ষেপন হতো। তদন্ত কাজে কিছুটা হলেও বিঘ্ন ঘটত। ল্যাব সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গত রাতে দৈনিক জন্মভূমিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৫ তলা ভবনটির নিচ তলায় ক্রাইম সিন ইউনিট, দ্বিতীয় তলায় সিঅইডির ক্রাইম জোন, তৃতীয় তলায় ফরেনসিক ল্যাব, চতুর্থ তলায় কেমিক্যাল র্যাব ও পঞ্চম তলায় ব্যারাক রয়েছে। জনবল থাকলেও লজেস্টিক সাপোর্টের অভাবে কেমিকেল ল্যাবের কার্যক্রম সিমিত পরিসরে চলছে। এই ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আলামতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরীক্ষা-নিরিক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ল্যাবটি পুরোদমে চালু হলে প্রতি মাসে আরও দু’-আড়াই হাজার মামলার আলামত পরীক্ষার জন্য আসবে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন। এর আগে শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টায় মোঃ হেলাল উদ্দিন বদরী কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। কেএমপির পুলিশ কমিশনার সাক্ষাৎকালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।