শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পূর্ব সুন্দরবনে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ঈদের ছুটি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনরক্ষী বনকর্মকর্তারা। অপরদিকে, কম্বিং অপারেশনে গত মে মাসে ৩৭ টি অভিযানে ৪২ কেজি হরিণের মাংস, ১২৫ কেজি হরিণধরা ফাঁদসহ সুন্দরবনে আটক হয়েছে আট জন। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের সময় একটি শিকারি চক্র সুন্দরবনে হরিণ শিকারে মেতে ওঠে। এ কারণে পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ সহ বন্যপ্রাণী পাচার রোধে সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বনবিভাগ। এবারের ঈদুল আযহায় বনরক্ষী বন কর্মকর্তারা ঈদের ছুটি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুন্দরবনের বিভিন্ন টহল ফাঁড়ি ও স্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে এমনকি গ্রুপ করে গহীন বনের মধ্যে পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছেন বলে বগি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার জানান। অপরদিকে সুন্দরবনে হরিণ শিকারি ধরতে মে মাসে বনরক্ষীরা পূর্ব সুন্দরবনে মাসব্যাপী কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করেন। এক মাসের অভিযানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংস তিনটি হরিণের মাথা, ১২৫ কেজি হরিণ ধরা ফাঁদ, তিন টন অবৈধ জাল, বিষযুক্ত ৯৫ কেজি মাছ, তিন বোতল কীটনাশক, ২২৬ টি কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ চারু ও ১১ টি নৌকা ট্রলার জব্দ সহ আটজনকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দিয়েছে। এ সময় ৩৭ টি বন অপরাধের মামলা হয়েছে বলে বনবিভাগ জানিয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, এবারের ঈদুল আযহায় পূর্ব সুন্দরবনের বনরক্ষী বন কর্মকর্তারা কোন ধরনের ঈদের ছুটি নেবেন না বলে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত মাসে সুন্দরবনে কম্বিং অপারেশনে ভালো ফল পাওয়া গেছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এ সময় চোরা শিকারীরা সুন্দরবনে হরিণ ও বন্যপ্রাণী শিকারসহ কোন ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে বনরক্ষীরা নিরলস টহল কার্যক্রম চালাবে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।