সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনে ব্যাপক হারে বেড়েছে হরিণ শিকারির সংখ্যা। রাত পোহালেই খবর আসে বিভিন্ন জায়গায় হরিণের মাংস জব্দ হরিণের চামড়া হরিণের পা মাথা বনবিভাগ কোস্ট গার্ড নৌবাহিনী সহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ তৎপর হলেও কোন অবস্থাতেই হরিণ শিকার রথ করা যাচ্ছে না। গরু-ছাগলের মাংসর সে হরিণের মাংস দাম তুলনামূলক ভাবে কম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০/৬০০ টাকার মধ্যে মেলে এক কেজি হরিণের মাংস বর্তমান শীতকালে হরিণ শিকারের উপযোগী সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে শিকারীরা সে কারণে প্রতিনিয়ত হরিণ শিকার হচ্ছে সুন্দরবনের হরিণ । এই সমস্ত হরিণের মাংস সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় কম বিক্রি হয়ে থাকে সুন্দরবন উপকূলীয় শহর উপসহরে এই হরিণের মাংস পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রি হয় এর মধ্যেও সাতক্ষীরা রেঞ্জের শ্যামনগর উপজেলা সাতক্ষীরা জেলা খুলনা বাগেরহাট পিরোজপুর ঝালকাঠি বরগুনাতে এই সমস্ত জেলা জেলা শহরে হরিণেরমাংস প্রভাবশালীরা কেনে ফ্রিজে মজুদ রাখে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য হরিণের মাংস দিয়ে অফিস আদালতে তদবির করে থাকেন।
এক কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা সম্ভব হয় মাঝেমধ্যে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড হরিণের মাংস ও শিকারীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে ব্রিটিশের তৈরি করা দুর্বল আইনের আওতায় জামিন পেয়ে যায় বিচারের ক্ষেত্রেও ৯৫% মামলার দায় হইতে আসামিরা অব্যাহতি পেয়ে যায় সে কারণে সুদি মহল থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বারবার বলে আসছে সুন্দরবনের ব্রিটিশের আইনের পরিবর্তন করে নতুন টেকসই মজবুত আইন তৈরি করা
যাহাতে হরিণ শিকারি সহ সুন্দর বনে অপরাধকারীরা কোন প্রকার ছাড় না পায় সে ব্যবস্থা করার কথা উঠেছে বিশ্বের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন সৌন্দর্য হরিণ বাঘসহ নানা প্রজাতির জীব জন্তু আজ হুমকির মুখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত হরিণ শিকার বাগাত্মা সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় এ সমস্ত অপরাধের ব্যাপারে বন বিভাগের রক্ষীরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নীরব থাকেন গত ২৪ সালে প্রায় ৩০০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবন থেকে এর সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে
এই অভিযোগে বন বিভাগযাদেরকে গ্রেফতার করতে পারে না তাদের নাম ঠিকানা সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বনমামলা দায়ের করেছে বিশেষ করে আন্টি হারা কোসগারডের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত হরিণের মাংস উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলের লোক হরিরে মাংস তেমন একটা চোখে দেখতে পায় না কিন্তু শহরে প্রতি প্রভাবশালীদের ফ্রিজে হরিণেরমাংস সব সময় রক্ষিত থাকে যারা হরিণেরশিকারী তারা বিভিন্ন হাত বদলের মাধ্যমে এই হরিণের মাংস শহর এলাকায় সরবরাহ করে থাকে এমনকি রাজধানী ঢাকা শহরেও বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ফ্রিজে হরিণের মাংস রয়েছে বন বিভাগ কোষ্ঠ গার্ডসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরা এত টহলে রয়েছে তার মধ্য দিয়েও অনায়াসে হরিণ শিকার হচ্ছে কোন কায়দায় এটা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুন্দরবনের হরিণ শিকারীরা এখন আর বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার করে না ফাস কল অথবা এক জাতীয় বরশি দিয়ে এই হরিণ শিকার করে নিয়ে আসে মাছ কাকরার পাশ করে মাছ ধরার কাকড়া ধারা রোজ ভাত দিয়ে সুন্দরবনের আন্দারমানি নীলকমল কটকা কচিখালি হিরান পয়েন্ট মান্দারবাড়ীয়া দৌবেকি আরভাঙাশিয়া ফিরিয়া চামটা পুষ্পকাটি মালঞ্চ কালিরচর দ্বীপের মধ্যে হিলশেমারী আগুন জ্বালা তাল পট্টি বেলা কয়লা লটারি, ১৮বে কি ক্ষব্রাখালী ডিঙ্গি মারি দায়ের গান কাশিঘাটা সহ সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে শিকারিরা এই সমস্ত হরিণ শিকার করে নিয়ে আসছে এই সমস্ত হরিণ শিকারীদের সাথে এলাকার প্রভাবশালীরাও জড়িত রয়েছে তারা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কোন সময় বনবিভাগ সহ কোন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেয় না যার ফলে অপরাধের সংখ্যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোনপুরহারি জানান হরিণের মাংস ধরে নিয়ে আসলো আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্বোধন মহল থাকে ফোন এবং তদবির আসে এই সমস্ত প্রভাবশালী তদবির কারীরা তাদের কথা না শুনলে বনরক্ষীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মূলক কথাবার্তা বলে এবং হুমকি দিয়ে থাকে
সুন্দরবনের পুরানো নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন নীতিমালা তৈরি করে হরিণ শিকারীদের শাস্তির জন্য নতুন আইন তৈরি করতে হবে। যে আইনের ফাঁকে যেন কোন কায়দায় হরিণ শিকারীরা ফাসিয়ে না যেতে পারে এজন্য সরকারকে এক্ষুনি পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরী বর্তমান সরকার সব সেক্টরে সংস্কার ও নতুন আইন তৈরি করছে সে ক্ষেত্রে সুন্দরবন রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে বাইরে বলে সুধী মহল মনে করেন।
এক্ষুনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজন সুন্দরবনের নতুন নীতিমালা তৈরি ব্রিটি শেরআইন পরিবর্তন করে নতুন কঠোর আইন তৈরি অপরাধ করলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি বন বিভাগে সংস্কার বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে রাঘববোয়েল কর্মকর্তারা বসে আছে তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য নানা কায়দায় ঘুষ। গ্রহণ সহ লুটপাট করছে সে কারণেও সুন্দরবন ধ্বংসের একটি বড় অংশ তাই এই সমস্ত রাঘববোল বন কর্মকার দের অপসারণ করে দক্ষ নতুন জনবল নিয়োগ করতে হবে এবং সুন্দরবনের সব ধরনের অপরাধ যাতে বন্ধ হয় এবং আইনের জবাবদিহিতের মধ্যে আসে সেই লক্ষ্যে সরকারকে কাজ করা অতি
জরুরি হয়ে পড়েছে সরকার সুন্দরবনের উপর নজরদারি না করলে বিশ্বের ম্যানগ্রোভ ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন ও প্রাণিসম্পদ অতি শিগগিরই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে
সুন্দরবনের বড় বড় দপ্তরে যে সমস্ত কর্মকর্তারা আছে তাদেরকে চাকরি থেকে অপসারণ করে।শাস্তির আওতায় দিয়ে আসতে হবে প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় এবং নিম্ন বর্ণিত ব্যক্তিরা জানান হরিণশিকারের ব্যাপারে উপকূলীয় অঞ্চলের কৈখালী গোলাখালি কালেঞ্চিয়া টেংরাখালী ভাষ্য খালি মরাগান চুনকুড়ি, মথুরাপুর ধুংঘাট মৌ খালি দক্ষিণ কদমতলা মুন্সিগঞ্জ পানখালি ধাতিনা খালি বুড়ি গোয়ালিনী দুর্গা বাটি বড় পুকুর নওয়াবেকি গোডারা বিড়ালক্ষ্মী পাতাখালি চন্ডিপুর গাবুর া হরেশখালী গাগরামারি পার্সোন মারি চাঁদনী মোখা ডুমুরিয়া ও কয়রা উপজেলার আন্টি হারা গোয়ালখালী বেদকাশী ঘড়িলাল কয়রা কাশিয়াবাদ সহ উপকূলীয় এই সমস্ত অঞ্চল দিয়ে প্রতিনিয়ত শিকারীরা হরিণ স্বীকার করে পাচার সুন্দরবন থেকে ফিরে আশা কাকড়া আহরণকারীরা আরো জানান মুন্সিগঞ্জ গ্রামের আজিজুল ৫৫ আনোয়ার ৪০ রেজাউল ৩৫ মহসিন ২২ আনসার ৩৯ মোতালেব ৫০ শামসুর বাহান্ন রফিকুল ৬৩ বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাদিরাখালী গ্রামের তমিজ উদ্দিন ২৩ মালেক ৪৫ রিয়াজুল ২৯ সাখাদ আলী ৪২ আব্দুর রহিম ৪৩ জহর আলী ২৩ মানিকচাদ 55 বক্তি বক্তিয়ার 63 সহেল ৫৫ ঘাবড়া ইউনিয়নের এনামুল হক ২২ রেজাউল করিম ৪৩ রহমত আলী বাইশ আনসার ৪৩ এদের কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে তারা জানান সুন্দরবনে এখন আর বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার হয় না শিকারিরা মাছ কাঁকড়ার পাশ নিয়ে ফাস কল দিয়ে অথবা বরশি দিয়ে নিয়মিত হরিণ শিকার করছে সুন্দর বনে হরিণ এত পরিমান বেড়েছে হাস কল বরশি দিলেই শিকার মিলছে তারা আরো জানান এই হরিণ শিকারের ক্ষেত্রে মরা গুনে বেশি শিকার হয় কারণ সে সময় সুন্দরবনের মাটি শুকনা থাকে তাই শিকারীরা সে সময় বর্ষি ও ফাঁদ দিতে সুযোগ পায় এবং হরিণ সে সময় গহীন জঙ্গল ছেড়ে কিনারে আসে হরিণের পটি চলাফেরা গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন প্রতিনিয়তই সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার হচ্ছে আমরা জনপ্রতিনিধি হলেও সরকারের স্থানীয় একটি অংশ আমাদেরও দায়িত্ব আছে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংসকারীদের প্রতিহত করা কিন্তু আমরা সজাগ থাকার পরেও শিকারিরা আমাদের পাহারায় রেখে হরিণ শিকার করে পাছার করে নিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।
মাসুদুল আলম আরো জানান আমি চেয়ারম্যান আইনের লোক সেই হিসেবে কোন হরিণ শিকারীরা আমার কাছে হরিণের মাংস বিক্রি করে না তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেও শিকারে আসে না তিনি আরো বলেন আমার জানা মতে বর্তমানে হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত চারিদিকে হরিণ শিকারের খবর পাওয়া যাচ্ছে এগুলো বন্ধ করতে শুধু বনবিভাগ কোচগার্ড নয় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে অচিরেই সুন্দরবনের হরিণ নিধন হয়ে যাবে তিনি আরো বলেন এই হরিণ শিকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে খবর পাওয়া যায় বন রক্ষীরাও এর সাথে জড়িত এ ব্যাপারে কথা হয় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন এর সাথে তিনি বলেন সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধের জন্য আমরা রাত দিন সুন্দরবন অথবা লোকালয়ে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে শুধু আমরা নয় নৌ পুলিশ সিপিসি সদস্য রাও আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে মাঝেমধ্যে শুনি হরিনের মাংস উদ্ধার হচ্ছে কিন্তু আমার কদমতলা এলাকায় হরিণ শিকারীদের সংখ্যা খুব কম হাতেগোনা দুই একজন থাকলেও আমাদের তৎপরতার কারণে তারা বর্তমান পিছিয়ে রয়েছে তিনি আরো জানান এই সমস্ত শিকারিদের সাথে উপরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে বিষয়টি আমরা যাচাই করে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা কি ব্যবস্থা নেয় সেই অপেক্ষায় আছে তাছাড়া বর্তমান সুন্দরবনের কাকড়ার প্রধান মৌসুম চলছে সে কারণে সুন্দরবনে দুই মাসের জন্য কাকড়া আহরণ বন্ধ রয়েছে কেহ অন্যপাশ নিয়ে কাকড়া আহরণ করছে কিনা সেজন্য ও আমরা রাত দিন বিরোধী ভাবে পাহারা দিচ্ছি
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সুন্দরবনের হরিণ শিকার পাছার প্রতিরোধে আমরা অতিরিক্ত টহল জোরদার করেছি যাতে কোনোভাবেই শিকারীরা হরি ণ শিকার না করতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা
তিনি আরো বলেন বন বিভাগ থেকে শুরু করে সিপিজি কোস্ট গার্ড সবাই নিয়মিত সুন্দরবনের ভিতরে অথবা উপকূলীয় এলাকার চিহ্নিত গ্রামগুলোতে কঠোর নজরদারি রেখেছি এবং আমাদের হট লাইনে মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে কেউ হরিণ শিকারের খবর পেলে আমাদেরকে তাৎক্ষণিক জানালে আমরা জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেব তিনি আরো জানান কোন কায়দায় যাতে সুন্দরবনের এই হরিণ শিকারীরা হরিণ নিধন করতে না পারে সেজন্য আমরা রাত দিন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমাদের বন বিভাগের বনরক্ষীদের জড়িত থাকার যে কথা উঠছে সেটা আমার মনে হয় বিশ্বাসযোগ্য নয় কারণ বন বিভাগের বনরক্ষীরা এমন কাজে জড়িত থাকতে পারে না তারপরেও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সরকারি বন সংরক্ষক মশিউর রহমান আরো বলেন হরিণের মাংস পাচার হরিণ শিকার হরিণ শিকারে যাচ্ছে হরিণ শিকার করে আসতেছে এমন খবর সঠিকভাবে কেউ দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে এটা সরকারের নীতিমালয়ে রয়েছে তিনি আরো বলেন শুধু বন বিভাগ নয় এটাকে প্রতিরোধ করতে হলে দলমাদ সকলকে এগিয়েআসতে হবে। সুন্দরবন বাংলাদেশের গৌরব সুন্দরবনের বাঘ হরিণ আমাদের জাতীয় সম্পদ সেই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা সকলের গুরু দায়িত্ব তাই আসুন হরিণ শিকার প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসি বিশ্বের ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যাতে হরিণ বাঘসহ প্রাণি ও সম্পদ যাতে নষ্ট করতে না পারে সকলে ই একসঙ্গেকাজ করি কথা হয় সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের দায়িত্ব থাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিমের সাথে তিনি এই প্রতিপাদকে জানান যখনই শুনি উপকূলীয় এলাকাসহ যেখানেই হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে মনে কষ্ট লাগে কারণ এ জাতীয় সম্পদ আমাদের সম্পদ আমরা নষ্ট করছি তাই এই সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য শুধু বনবিভাগ নয় কোস্ট গার্ড পুলিশ সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বর্তমান সুন্দরবনে হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে এত আইন-কানুন কঠোর করার চেষ্টা করছি তারপরেও এটা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না কারণ হরিণ শিকারিরা এত চালাক আমরা যতই টহল করি আমাদেরকে তারা ফলো করে আমাদের বনরক্ষীরা যখন গন্তব্যস্থলে ওঠে সেই ফাঁকেই হরিণের মাংস পাচার করে শহরের দিকে নিয়ে আসে মাঝে মাঝে কোচগার্ড ও বন বিভাগ যৌথভাবে এই হরিণের মাংস উদ্ধার করছে আবার কখনো এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আটক করে বন মামলা দেওয়া হচ্ছে কাজী নজরুল করিম এই প্রতিপাদকে আরো জানান বর্তমান সুন্দরবনে হরিণ শিকারি ছাড়া চোরাই ভাবে কাট কাটার কোন খবর পাওয়া যায় না সুন্দরবনের কাঠ চুরি একবার জিরো তে নেমে গেছে বলে নুরুল করিম মনে করেন নুরুল করিম আরো বলেন খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি এই চোরাই কি তো হরিণের মাংস গরু ও খাসির মাংস চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকার মধ্য এক কেজি হরিণের মাংস মিলছে এ তথ্য ইতিমধ্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে তাছাড়া যারা এই হরিণের মাংস কিনছে তারাও এ তথ্য জানিয়েছে নুরুল করিম আরো বলেন শুধু পশ্চিম সুন্দরবন নয় পূর্ব সুন্দরবনেও হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত হরিণ শিকার করছে হরিণের মাংস জব্দ করা হচ্ছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বন মামলা দেওয়া হচ্ছে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি সুন্দরবনের হরিণ শিকার বন্ধসহ সর্বপ্রকার অপরাধ জিরো তে নিয়ে আসার জন্য এজন্য বন বিভাগের সকল স্টেশন পাহাড় ফাঁড়িগুলোতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমাদের নির্দেশনা মোতাবেক বনরক্ষীরা প্রায় সার্বক্ষণিক সুন্দরবনের ভিতরে ও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে টহাল করে চলছেএ ব্যাপারে কথা হয় খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সুন্দরবনে হরিণ অনাহারে পাছার হচ্ছে খবর পাচ্ছি আমাদের বনরক্ষীরা এ সমস্ত হরিণের মাংস প্রতিনিয়ত আটক করছে কিছু কিছু শিকারিরাও আটক হচ্ছে যারা এই হরিণের মাংস কিনছে তারাও মাঝে মাঝে আটক হচ্ছে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বনাম মামলা দেওয়া হচ্ছে তবে সত্যি কথা কি আইনের ফাক পথে জামিন পেয়ে যাচ্ছে বিচারেও অধিকাংশ মামলা র দায় হইতে আসামিরা বেঁকে সুর খালাস পাচ্ছে আমরা বৃটিশের তৈরি করা এই বন আইন সংশোধন করে নতুন আইন তৈরি করার জন্য মন্ত্রণালয় বারবার চিঠি পাঠাচ্ছি মনে হয় তাড়াতাড়ি সুন্দরবনের উপর নতুন নীতিমালা জারি করবে সরকার তাতে নতুন আইন ও থাকবে নতুন আইন তৈরি হলে অপরাধীদের ক্ষেত্রে আর জামিনও বেকেশ্বর খালাস পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে তখন সুন্দরবনের অপরাধ কমে আসবে এদিকে সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার নাঈমুল হোসেন বলেন মিডিয়াতে আমরা প্রতিদিন দেখছি সুন্দরবনের হরিণের মাংস আটক হচ্ছে এভাবে অনাহারে যদি হরিণের মাংস আটকায় হরিণ শিকার বন্ধ না হয় তাহলে অচিরেই সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণ নিধন হয়ে যাবে সেজন্য সরকারের এক্ষুনি জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তিনি আরো বলেন নতুন আইনে হরিণ শিকারের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হলে সে অপরাধের যাবজ্জীবন শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে আর বাঘ হত্যাকারীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে এমন ভাবে আইন তৈরি করতে হবে তাছাড়া প্রজনন মৌসুমে এবং অভয়ারণ্য এলাকায় যাতে কোন প্রকার জেলে বাওয়ালি মৌয়ালি কোন
প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে কথা হয় পরিবেশ জলবায়ু ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ভাই প্রতিনিয়ত সুন্দরবনে হরিণ শিকার বনদস্যু কর্তৃক বনজীবীদের অপহরণ এসব খবর শুনে অবাক হয়ে যায় বর্তমান সরকার সুন্দরবনের সংস্কার ও নতুন নীতিমালা তৈরি করার জন্য অতি শিগগিরই একটি সংস্কার কমিটি গঠন করবে সেজন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি অতি তাড়াতাড়ি এর কাজ শুরু হবে এছাড়া বর্তমান সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ ও বনদস্যু কর্তৃক মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ বন্ধের জন্য সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি আরো বলেন যারা সুন্দরবনের অবলা জন্তু হরিণ বাঘ শিকার করে তাদেরকে কোন মানুষের পরিচয় দেওয়া যায় না