জন্মভূমি রিপোর্ট
শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করণ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাষ্ট্রদূত (অব:) এম হুমায়ুন কবীর বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই মুক্তযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল। মুক্তযুদ্ধের ঘোষণায় ন্যায্যতা ও অধিকারের কথা ছিল। বাংলাদেশের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও গভীর। স্বাধীনতার জন্য লাখ-লাখ মানুষ আত্মত্যাগ করেছিল। সুশাসন আমাদের জন্য বিলাসিতা নয়, আমাদের অধিকার। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা না থাকলে উল্টো দিকটা হয়-দুর্নীতি। দুর্নীতি যখন অধিকারকে খর্ব করে, তখন এর প্রাসঙ্গিকতা বোঝা যায়। রাজনীতিবিদরা দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি চর্চা করলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দাবি করা সহজ হয়।
তিনি বলেন, যে কোনো দেশের সংবিধান মৌলিক দলিল। সেখান থেকে সমস্ত ক্ষমতা উচ্ছারিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের গার্ডিয়ান। সংবিধানকে রক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট। আমলাতন্ত্র রাষ্ট্রের ড্রাইভার। আমলাতন্ত্র সঠিক মূল্যবোধে অনুপ্রণিত না হলে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতায় জটিলতা দেখা দেয়। যেখানে ব্যালেন্স অব পাওয়ার নেই, সেখানে অধিকার ক্ষুন্ন হয়। দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ কাজ করছে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) কর্তৃপক্ষ নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে গতকাল শুক্রবার থেকে তিন দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছেন। সেখানে গণমাধ্যম কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। দি এশিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এ আয়োজনে সহযোগিতা করেন। বিইআই-এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, উপ-পরিচালক আশীষ বনিক এবং লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার প্রশিক্ষণে সহায়কের ভূমিকা পালন করেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশের সংবিধান ও তথ্য অধিকার আইন নিয়ে আলোচনা হয়। তথ্য অধিকার আইন অনুসারে যেসব তথ্য প্রকাশ বা প্রদাণ বাধ্যতামূলক নয়-সেগুলো আলোচিত হয়। তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। প্রশিক্ষনার্থীরা ওই আইন সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।