জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের কর্ণাটকের তুমাকুরুতে এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রী রাতের খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর শিরশ্ছেদ করে এবং গায়ের চামড়া তুলে ফেলেন। শিবরাম নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হোলিয়ুরুদুর্গা গ্রামের বাসিন্দা শিবরাম জানিয়েছেন, রাতের খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি স্ত্রী পুষ্পার (৩৫) শিরশ্ছেদ করে হত্যার পর তার গায়ের চামড়া তুলে নেন। শিবরাম-পুষ্পা দম্পতি গত ১০ বছর ধরে বিবাহিত এবং তাদের ৮ বছরে একটি ছেলেসন্তান আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবরাম কাঠের দোকানের শ্রমিক। তার চাকরি নিয়ে অনেকদিন ধরেই শিবরাম ও পুষ্পার মধ্যে ঝগড়া হয়। গত সোমবার রাতে সে তার কর্মস্থল থেকে ফিরলে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে পুষ্পা তার স্বামীকে রাতের খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় রেগে গিয়ে একটি চাপাতি দিয়ে শিবরাম তার স্ত্রীকে কোপাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তার শিরশ্ছেদ করেন। পরে সারা রাত ধরে স্ত্রীর গায়ের চামড়া ছাড়িয়ে তার দেহকে টুকরো টুকরো করেন শিবরাম।
এরপর সকালে শিবরাম তার বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। পুরো ঘটনার সময় ওই দম্পতির সন্তান ঘুমাচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ।
তুমকুর থানার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অশোক ভেঙ্কট বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (শিবরাম) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছিল। তারা চাকরি নিয়ে ঝগড়া করেছিলেন। তিনি স্ত্রীকে হত্যা করার পর বিষয়টি তার বাড়ির মালিককে জানান। পরে তিনি আমাদের ডেকে পাঠান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’