খুলনায় রেকর্ড শনাক্ত ২২২, মৃত্যু ৯ জনের
শেখ আব্দুল হামিদ
করোনা প্রতিরোধে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ৩২ হাজার ৪০০ ডোজ গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনায় পৌঁছায়। আগামী ১৯ জুন থেকে এ টিকা প্রদান করার কথা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআরল্যাবে ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২২২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আর এসময়ে মৃত্যু হয়েছে সর্বোচ্চ ৯ জনের। এনিয়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ১২ হাজার ৪৫ জন। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। শুধু চলতি জুন মাসের ১৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১১৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গতকাল ১৬ জুন দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে ভ্যাকসিন এর জন্য বিশেষায়িত ফ্রিজার গাড়িতে করে জেলা শহরের ইপিআই ভবনে (স্কুল হেলথ ক্লিনিক) করোনা ভ্যাসিন এসে পৌঁছায়। পরে গাড়ি থেকে করোনা ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটির সদস্যরা বুঝে নেন। ভ্যাকসিনের ডোজগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে ভবনের আইএলআর ফ্রিজগুলোতে সংরক্ষলণ করা হয়েছে।
এদিকে করোনা বৃদ্ধির হার খুলনায় উদ্বেগজনক। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকাল পর্যন্ত ১৩৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে রেডজোনে ৭০ জন, ইয়লোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২৮ জন ও আইসিইউতে ২০ জন ভর্তি রয়েছেন। এসময়ে রেডজোনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের আর ইউয়োলোজোনে ৪ জনের।
খুলনায় আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন দাকোপ উপজেলার ২৮১ জন মৃত্যু ৩ জনের, বটিয়াঘাটায় আক্রান্ত ১৫৯ জন মৃত্যু ৫ জন, রূপসায় আক্রান্ত ৪৩০ জন মৃত্যু ১৬ জনের, তেরখাদায় আক্রান্ত ১৬১ মৃত্যু ৩ জনের, দিঘলিয়ায় আক্রান্ত ২৪৫ মৃত্যু ৩ জনের, ফুলতলায় আক্রান্ত ৪১২ মৃত্যু ৪ জন, ডুমুরিয়ায় আক্রান্ত ২৮৯ জন মৃত্যু ৩ জন, পাইকগাছায় ২৯৮ মৃত্যু ৭ জন এবং কয়রা উপজেলায় আক্রান্ত ১০৫ জন মৃত্যু ৫ জনের। খুলনা সিটিতে মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৬৬৫ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের।
খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা:বিধান চন্দ্র ঘোষ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা খুলনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা না থাকার কারণে এ হার আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশী। তিনি বলেন, শয্যাসংখ্যা বাড়িয়েও সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।