বিজ্ঞপ্তি : বিএনপি ঘোষিত আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য খুলনাবাসিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এবং জুলুমবাজ বাকশালী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শাসকদলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝতে পেরে ষড়যন্ত্রমূলক নীল নকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মতো শাসকদলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা সরকারের একতরফা নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কোনোভাবেই পূরণ হতে দিবে না।
শনিবার মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে। সকল দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত করে নতুনভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নতুবা একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় ষড়যন্ত্রকারী সরকার এবং তথাকথিত নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে। পুলিশ প্রশাসন সরকারের একতরফা নির্বাচন ঘিরে এক সর্বনাশা পরিস্থিতি তৈরি করতে হিংস্র হয়ে উঠেছে। তারা অতীতের মতোই সারা বাংলাদেশের জনগণকে বন্দী করে, গৃহছাড়া করে ভোট ডাকাতির উৎসব সফল করতে চায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা, হামলা নির্যাতন এবং পাইকারি গ্রেপ্তারের চিরুনি অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গায়েবি মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতা-কর্মীদের এখন দুঃসহ জীবন অতিবাহিত করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অহেতুক গ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বিবৃতিদাতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ।