জন্মভূমি ডেস্ক : দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ সেশনে আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮০টি। বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৪৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হবেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়। তবে এর আগে নিয়ম না মানায় ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ও ২টির নিবন্ধন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফলে ছয় মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ সেশনে ভর্তি প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ভর্তি করার জন্য উপযুক্ত না। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হওয়া মেডিকেল কলেজগুলো হলো- উত্তরা আইচি মেডিকেল কলেজ, নর্দান মেডিকেল (ঢাকা), নর্দান মেডিকেল (রাজশাহী), শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজ (ঢাকা), কেয়ার মেডিকেল কলেজ এবং সাভার ও নাইটেঙ্গেল মেডিকেল কলেজ। এগুলোর মধ্যে কেয়ার মেডিকেল কলেজ এবং সাভার ও নাইটেঙ্গেল মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মানের ঘাটতি আছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। আর নতুন করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ খোলার পক্ষে তিনি নন। মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে গুরুত্ব দেবে সরকার।
স্বাস্থ্যখাতে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আইন পাস হয়েছে। অতীতে আইনের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। তবে নতুন মন্ত্রীর আওতায় আমরা কঠোরভাবে অনিয়মগুলো দেখব। মাত্র মন্ত্রীত্ব পেলাম। বিষয়গুলো দেখছি। যেখানে শিক্ষক নেই সেখানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আমরা কোয়ালিটি ডা. তৈরি করব।
সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে এক্রেডিয়েশন পেপার দরকার পড়ে না। তাই আপাতত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়নি। ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য আমরা নজরে রাখব।
দুই মাসের মধ্যে বিএমডিসির অনুমোদন না নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএমডিসির অনুমোদন না নিয়ে কেউ যেন কার্যক্রম না চালায়। এ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।