গত দু’ অর্থবছরে নগরীর লাইসেন্সধারী রিক্সার চার ভাগের তিন ভাগেরই নবায়ন হয় নি। এতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন-কেসিসি কর্তৃপক্ষ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নবায়ন ফিস হারিয়েছেন। চলতি অর্থবছরেও রিক্সা মালিকরা নবায়ন কাজে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন।
কেসিসি’র লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ১৭ হাজার নিবন্ধনভুক্ত রিক্সা রয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার দু’শ ৯৭ টি রিক্সার লাইসেন্স নবায়ন হয়। এতে প্রায় ১৩ লাখ টাকা নবায়ন ফি আদায় হয়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এর পরিমাণ কমে তিন হাজারের কাছাকাছি দাঁড়ায়। তখন নবায়ন ফি আদায় হয়েছিল নয় লাখ টাকার মতো। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে নবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। জরিমানা ছাড়া সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিক্সার নবায়নের সুযোগ রয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত মাত্র হাজার খানেক রিক্সার নবায়ন হয়েছে।
কেসিসি’র লাইসেন্স পরিদর্শক মোঃ নাজিম উদ্দীন বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রিক্সার নবায়ন ফি ৩শ’ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নবায়নের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকলেও ৩০ টাকা হারে জরিমানা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত নবায়ন করা যাবে। করোনা দুর্যোগে নবায়ন কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। রিক্সা মালিকদের নবায়নের জন্য বার-বার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেকেই অর্থ সংকটের কথা বলে সময় নিচ্ছেন।
কেসিসি’র সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুক হোসেন তালুকদার দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, গত কয়েক বছরে রিক্সার মালিকদের একটি বৃহৎ অংশ লাইসেন্স নবায়ন না করায় কেসিসি কর্তৃপক্ষ বড় অংকের নবায়ন ফিস হারাচ্ছেন। ওই সব রিক্সা মালিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে নবায়ন ফি আদায় করা হয়।