অধিকাংশ বেসিন অকার্যকর
কতৃপক্ষের নেই মাথাব্যাথা
উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টরা
এম সাইফুল ইসলাম
করোনার সংক্রামণ রোধে সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের হাত ধোয়ার জন্য ডুমুরিয়ার সদর ইউনিয়ন পরিষদে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। পরপর কয়েকটি তিনটি বেসিন বসানো রয়েছে। একটিতেও নেই পানি ও সাবান। পরিষদে প্রবেশের সময় সাধারণ মানুষ হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছেন। এতে করে করোনা ভাইরাসে সংক্রামণ বাড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, খুলনার নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের সামনে, উপজেলা পরিষদ চত্বর ও পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে পথচারীদের হাত ধোয়ার জন্য করোনার প্রথম ঢেউয়ে বেসিন বসানো হয়েছে। যা করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলেই অকেজো হতে থাকে এ বেসিনগুলি। দেখভাল করার মতো কেউ থাবে না।
সরেজমিন দেখা গেছে উপজেলাগুলোর হাসপাতাল, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেসিনগুলোর মধ্যে অধিকাংশ বেসিনে নেই সাবান ও পানি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবহার করা হয়নি।
ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশপথে হাত না ধুয়ে কেন প্রবেশ করছেন আব্দুল করিম নামের একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বেসিন লাগানো হয়েছে তা লাগানো পর্যন্তই শেষ। প্রথম দিকে সবকিছু সচল থাকলেও এখন আর কোনও গুরুত্ব নেই। সেখানে যে হাত ধুবো তাতে তো সাবান নেই। হাত ধুবো কীভাবে? তাই হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছি।
রাজিব হোসেন নামের আরেকজন বলেন, করোনা প্রতিরোধে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়া কার্যকরী পদক্ষেপ, যা চিকিৎসকসহ সবাই বলছেন। মানুষের হাত ধোয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে বেসিন বসানো হয়েছে শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য। যদি তাই না হবে তাহলে মাঝে মধ্যেই বেসিনে সাবান থাকে না, আবার পানি থাকে না।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাদিয়া মনোয়ারা উষা বলেন, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া খুব-ই জরুরি এ পরিস্তিতে। কিন্তু এটি করতে বাধ্য করা তো যায় না। মানুষ নিজে থেকে যদি সচেতন না হয় তাহলে এটি করা অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উচিত গ্রাম থেকে শহরে প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বেসিন বসানো এবং অকার্যকর বেসিনগুলো চালুর ব্যবস্থা করা।
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু জানান, সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য পরিষদ চত্বর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হাতধোয়ার বেসিন বসানো হয়েছিল। বেসিনগুলোতে পানির ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বর্তমানে সবগুলো বেসিন বন্ধ থাকার ব্যাপারে তিনি জানান, যেগুলোতে সাবান নেই সেগুলোতে সাবানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এখনতো জনসমাগম নেই তাই অকার্যকর হয়ে পড়ে রইছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্ব স্ব কার্যালয়ে হাত ধোওয়ায়ার ব্যাবস্থার জন্য রাখতে বলা হয়েছে। যদি কার্যালয়ে এ ব্যবস্থা না থাকে এ জন্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিস কতৃপক্ষ দায়ী।