জন্মভূমি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে গোপালগঞ্জে ১ বছরে অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বেড়েছে ১৭৯ হেক্টরে। গোপালগঞ্জে চাষযোগ্য অনাবাদি জমির পরিমান ৩ হাজার ৬শ’৯৭ হেক্টর। এরমধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে জেলার ৫ উপজেলায় ১ হাজার ৭শ’ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত অর্থ বছরে ১ হাজার ১শ’৪৮ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসে। চলতি অর্থ বছরে অনাবাদি ১ হাজার ৩শ’২৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ সম্প্রসারিত হয়েছে। এতে গত ১ বছরে এ জেলায় ১৭৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনাবাদি জমিতে এ বছর ২৩ হাজার ৮শ’৮৬ মেট্রিক টন অতিরিক্ত শাক, সবজি, মসলা ও ফল উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৫০ টাকা। এতে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ফসলের উৎপাদন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩শ’ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ১শ’২০ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৮৩ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩ শ’২৫ হেক্টর, ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩২০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসে। এ বছর গোপালগঞ্জ সদরে ১৮ হেক্টর, মুকসুদপুরে ৪১ হেক্টর, কাশিয়ানীতে ১৫ হেক্টর, কোটালীপাড়ায় ৫৫ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়ায় ৫০ হেক্টর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে এ বছর জেলার ৫ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩ শ’২৭ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেনা অনুযায়ী গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তদর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরই ১৭৯ হেক্টর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো ৩৫ হেক্টরে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, আমরা কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করার পর থেকে কৃষক অনাবদি জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসছেন। তাই সদর উপজেলায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।