নাগরিক সংগঠন ‘প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চ’-এর পক্ষ হতে পাটকল রক্ষায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জুটমিল কতিপয় ব্যক্তি মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা হিসেবে একযোগে ২৬টি মিল বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের বেকার করে দেওয়ার মত অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শ্রমিক ও নাগরিকদের উপর সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আহŸায়ক ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়–য়া। অন্যান্যের মধ্যে আলোাচনায় অংশ নেন নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা, উন্নয়ন কর্মী শামসুল হুদা, প্রফেসর সাইদ ফেরদৌস, প্রফেসর মঞ্জুরুল কিবরিয়া, গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লোকসানের অজুহাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জুটমিল বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের বেকার করে দেয়া গণতান্ত্রিক-মানবিক সরকারের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। পাট বহুমুখী পণ্য, প্রাথমিক পণ্য হিসেবে এই শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেই সমাধান করা সম্ভব; যাতে বহু মানুষ উপকৃত হতে পারে। সেপথে না গিয়ে শ্রমজীবীদেও কর্মচ্যুত করে, অধিকার সঙ্কুচিত করে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদকারীদেও উপর আক্রমণ করে সরকার নিজেকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছেন, যা কাক্সিক্ষত নয়।
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটশিল্প রক্ষায় সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, মাথা ব্যথা হলে কেউ যেমন মাথা কেটে ফেলে না, তেমনি লোকসানের অজুহাত তুলে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটশিল্প বন্ধ করে শ্রমিকদের বেকার করে দেয়া কোন প্রক্রিয়া হতে পারে না। শ্রমিকদের পাওনার চেক বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানও সরকারের মালিকানায় পাটশিল্প রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। শ্রমিক-নাগরিকদের প্রাণের দাবি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটশিল্প রক্ষা করা, সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থার মাধ্যমে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা।