জন্মভূমি রিপোর্ট : বটিয়াঘাটায় বিএনপি’র ত্যাগি নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান দীর্ঘ দিন ধরে নেতৃত্বে থাকার কারণে তার শুভাকাঙ্খিদের ছাড়া কাউকে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহবায়ক কমিটির জেলা শাখার সদস্য মো. সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, দলের নেতৃত্ব দিতে গেলে এক জন সৎ, সাহস, মেধাবী, পরিশ্রমি ও নানাবিধ যোগ্যতার প্রয়োজন। কোন যোগ্যতা না থাকা সত্বেও টানা ২৮ বছর থানা বিএনপি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা এবং ধানের শীষ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া থেকে কোন কিছু থেকে বাদ পড়েনি। তার মতের বাইরে যাওযার কারণে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান জিকুকে বাদ দিয়ে তার চাচাতো ভাই যে দলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই তাকে আহবায়ক মনোনীত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুব দলের প্রতিষ্ঠাকালিন নেতা মো. কামরুল ইসলামকে অমর্যাকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান যুব দলের প্রতিষ্ঠা কালিন সভাপতি কামরুল ইসলাম সিফার নূন্যতম সদস্য রাখা হয়নি। বটিয়াঘাটায় বিএনপি’কে যারা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং মামলা- হামলার শিকার হয়েছেন এমনকি যে ব্যবসায়ীরা বিএনপি করার অপরাধে দেউলিয়া হয়েছে তারা আজ উপেক্ষিত।
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, টানা ২৮বছরে আমির এজাজ খানের রাজনৈতিক বলি হয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক অসম্মানের ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনকে অসম্মান করে ২৩নং সদস্য করা হয়েছে। অবজ্ঞা করা হয়েছে সাঈদ ইজারাদারকে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতাদের আহবায়ক কমিটি পুন:গঠন না করলে সর্বোচ্চ ফোরামে দাবি জানানো হবে। এ সময় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।