জন্মভূমি রিপোর্ট : মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এ চক্রের চিহ্নিত সদস্য বন্দরে আগত বিভিন্ন বিদেশী জাহাজ, ড্রেজিং মেশিন ও লাইটার কার্গোসহ নানান নৌযান থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করে এনে তা দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করছে। মোংলা থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক অভিযান চালিয়ে বিদেশী জাহাজ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নামিয়ে আনা রংয়ের একটি বড় ধরনের চালান আটক করেছে। এ সময় চোরাচালান চক্রের হোতা শহরতলীর কানাইনগরের মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে মোঃ হাশেম ফকির (৫০) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করলেও তার অপরসঙ্গী একই এলাকার ইউপি মেম্বর সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ হাসান ওরফে জাকির হাওলাদার (৩৮)সহ অজ্ঞাত আরো২/৩ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নিজেদেরকে রক্ষায় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে নানা তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে,এম আজিজুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌর শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা বিদেশী জাহাজ থেকে অবৈধভাবে আনা ৫৫টি কন্টেইনারে ২০লিটার করে মোট ১১০০লিটার রং ট্রাকযোগে খুলনায় পাচার করছিল। পরে গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাচার করে আনা ওই বিদেশী রংসহ অন্য কন্টেইনারে রাখা ২০লিটার থিনার ও কিছু দাহ্য জাতীয় পদার্থ জব্দ করে। পরে এ ঘটনায় সময় চোরাচালান চক্রের হোতা শহরতলীর কানাই নগরের মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে মোঃ হাশেম ফকির (৫০) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে। এদিকে মামলার অপর আসামী চোরাচালান চক্রের অপর প্রভাবশালী সদস্য মোঃ হাসান ওরফে জাকির হাওলাদার (৩৮)সহ অজ্ঞাত আরো২/৩জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পলাতক আসামী মোঃ হাসান ওরফে জাকির হাওলাদারসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।