সমস্যা সমাধানে সভা আজ
অতিরিক্ত রোগী চাপ সামলাতে না পারায় ভর্তি ইচ্ছুক রোগীরা বিপাকে
অভিজিৎ পাল
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালকে ১শত শয্যা থেকে ২শত শয্যায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত অনেক আগে থেকেই। কিন্তু সংক্রমণের উর্দ্ধমুখী এই সময়ে জনবল ও লজিষ্টিক সাপোর্ট এর অভাবে চালু করা যাচ্ছে না বাড়তি ১শত শয্যা বলছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র। মার্চ এপ্রিল মাস থেকে বার বার বলার পরে সমাধান হয়নি সংকট অভিযোগ তার। তবে ডাক্তার ও নার্স এর সঙ্কট নেই বলে দাবি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের। অন্যান্য লজিষ্টিক সাপোর্ট দিতে এখনও সময় লাগবে বলছেন তিনি। এমন অবস্থায় অতিরিক্ত রোগী চাপ সামলাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শুক্রবারের সভায় বলছেন খুলনার স্বাস্থ্য সেবার সাথে যুক্তরা।
শ্বাষ কষ্ট নিয়ে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষামান বরিশালের হাকিম বিশ্বাস। একই অবস্থা ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের সিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরীর। হাসপাতালের সামনে অক্সিজেন মুখে নিয়ে তিনি অপেক্ষামান চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায়। হাসপাতালে আসন সংখ্যার বেশি রোগী হয়ে যাওয়ায় এই ভোগান্তি তাদের।
হাকিম বিশ^াসের ছেলে বৌ জানান, এক ঘন্টা ধরে রোগী পরে আছে ভর্তি নিচ্ছে না বলে ট্রলি খুঁজে পাচ্ছে না আবার বলে সিট নাই।
চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরীর স্বজন জানান, প্রায় আধাঘন্টা ধরে বসে আছি। রোগীকে সিন্ডিন্ডারে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। চাপ বেশি হওয়ায় রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে বলছেন কর্তৃপক্ষ।
পরে অবশ্য তাদের ভর্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১শত শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এখন রোগী আছেন ১৩০ জনের বেশি। রোগীর চাপ বাড়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের। তাই গুরুতর অসুস্থ না হলে হাসপাতালে আসতে নিষেধ করছে কর্তৃপক্ষ।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র সুহাষ রঞ্জন হালদার বলছেন, রোগী ভর্তি হবে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমরা গুরুতর অসুস্থদের প্রাধান্য দিচ্ছি। কারন আমাদের কাছে ১৩০ এর বেড এর বেশি রোগী ভর্তি করার যায়গা নেই।
করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন বলছেন গত এপ্রিল মাস থেকে বার বার বলার পরেও জনবল ও লজিষ্টিক সঙ্কটের কারনে শয্যা সংখ্যা এক শত থেকে দুই শত উন্নত করা যাচ্ছে না। তবে মুখপাত্রের অভিযোগ অস্বীকার করছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ সুহাষ রঞ্জন হালদার আরো বলেন, আমি এপ্রিলে যোগদান করেছি। জুন মাসের আগ পর্যন্ত হাসপাতালে ৫০ এর কম রোগী ছিল। সে সময় বার বার স্বাস্থ্যের সভায় আমরা বলেছি আমাদের রুম রেডি। আমাদের জনবল ও লজিষ্টিক সাপোর্ট যেমন বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সাপ্লাই দিলে বেড সংখ্যা বাড়ানো যাবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এ কারনে আমরা অতিরিক্ত ৩০ বেড বাড়িয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছি।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানার। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্স এর সঙ্কট নেই। অন্যান্য লজিষ্টিক সাপোর্ট দিতে সময় আরো বেশি লাগবে।
বর্তমানে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপতালে ১৩০ জন রোগীর বিপরীতে দায়িত্ব পালন করছেন ২৪ ঘন্টায় নয় জন মেডিকেল অফিসার, তিন জন সহকারি রেজিষ্ট্রার, দুই কনসালটেন্ড ও নার্স ৬৭জন নার্স। যা পর্যাপ্ত নয় বলছে কর্তৃপক্ষ।