ঝুঁকির মধ্যে বেড়িবাঁধের বাইরে শরণখোলায় দুই হাজার পরিবার
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : ঘূর্ণিঝড় মোখার আতংকে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশিরভাগ ফিশিংবোট ঘাটে ফিরে গেলেও কতিপয় বোট সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে। ৩টি ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, শরণখোলায় প্রায় দুই হাজার পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দুবলার ভেদাখালী ও আলোরকোল খাল থেকে বাগেরহাটের বগা এলাকার ফিশিংবোট “এফবি মায়ের দোয়া” এর মাঝি মোঃ ইলিয়াস হোসেন এবং অপর বোটের মাঝি মিজানুর রহমান শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবরে সাগরে মাছধরা বন্ধ রেখে অধিকাংশ ফিশিংবোট ঘাটে ফিরে গেলেও তারা কয়েকটি বোট ভেদাখালী ও আলোরকোল খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। তিনদিন আগে তারা সাগরে এসেছেন। আবহাওয়া ভালো হলে পুনরায় সাগরে মাছ ধরে ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু ২০ মে’র আগে তারা ফিরে যাবেন বলে ঐ মাঝিদ্বয় জানিয়েছেন।
শরণখোলার ৪নং সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নের শরণখোলা, চালিতাবুনিয়া, সোনাতলা ও ত্যারাবাকা এলাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবার বেড়িবাঁেধর বাইরে জলোচ্ছাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ৯১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা রয়েছে। বেড়িবাধেঁর বাইরে থাকা মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান বলেন, পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বনের কটকা, কচিখালী ও শ্যালারচরের বনরক্ষীদের নিকটস্থ ফরেস্ট টহল ফাঁড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।