জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর সদর থানাধীন ফেরিঘাট মোড়স্থ মৌসুমি আবাসিক হেটেলে এক নারী ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষ সঙ্গীর গোপনাঙ্গ কেটে পালিয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতের এ ঘটনার পর জখম হওয়া যুবক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, পাইকগাছা উপজেলার কমলাপুর গ্রামের গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০) নড়াইল জেলার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি গ্রামের বাড়ীতে স্ত্রী-সন্তান রেখে নড়াইল জেলার জংগল গ্রামের বাসিন্দা মরিয়ম নামের এক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারা আবাসিক হোটেলটিতে মাসে দু’-তিন বার এসে রাত কাটাতেন। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টায় ওই যুগল স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে হেটেলে ওঠেন। ম্যানেজারের সাথে দীর্ঘ পরিচয় থাকায় তিনি তাদের বিশেষ প্রশ্ন করেননি। হোটেল ম্যানেজার ওই কর্মকর্তাকে বলেছেন, ভোর রাত আড়াইটার পরে ওই পুরুষ এবং নারী তাকে ডেকে হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে চান। তখন পুরুষটির নিম্ন্াঙ্গ থেকে রক্ত ঝরছিল। কি হয়েছে, ম্যানেজারের এ প্রশ্নে তারা বলেছেন-পাইলস। সূত্র জানান, ওই নারীর সাথে পুরুষটি বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন অবৈধ শারিরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। নারীটি বিয়ের জন্য চাপ দেয়ার প্রেক্ষাপটে কথা কাটাকাটির জেরে ওই রাতে তার গোপনাঙ্গ কাটা হয়। ঘটনার পর থেকে মহিলাটি পলাতক রয়েছে। পুরুষটি হাসপাতালের সার্জারি -০১ বিভাগে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। পুলিশ হোটেল কক্ষের খাটের নিচ থেকে রক্ত মাখা ব্লেডটি জব্দ করেছে। রাত ৮ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্য এ ঘটনায় থানা-পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে সূত্রটি দৈনিক জন্মভূমিকে বলেছেন।