আপনি ইতোমধ্যেই জেনেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথে আত্মনির্ভরশীল সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এই সেতু বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে আমি বিশ্বাস করি’।
চিঠির শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সুবিধাজনক সময় বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ রইল। সেপ্টেম্বরে ২০২২-এ আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি। দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও আদর্শগত সাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান সম্পর্কের দৃঢ়তর করতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই।
আপনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত সাফল্য প্রত্যাশা করি। ‘
২৫ জুন বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত ‘পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে যান চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্মা সেতুতে। ফলে কলকাতা থেকে ঢাকা যে পথ অতিক্রম করতে ১০-১১ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই দূরত্ব পার করা যাচ্ছে। এমনকি, আগামীতে রেলপথে ঢাকা যাওয়ার সময়েই একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নবান্নের তরফে জানা গেছে, গত ২০ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ঐতিহ্যশালী আম পাঠিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চিঠি এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।